অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করা হয় খুব সরু, দীর্ঘ, নমনীয় অথচ নিরেট কাচতন্তু দ্বারা । এই তন্তুর প্রতিসরাঙ্ক ১.৭ । ফাইবারের উপর অপেক্ষাকৃত কম প্রতিসরাঙ্কের (1.5) পদার্থের একটি আবরণ দেওয়া হয় । ফাইবারের একপ্রান্তে ক্ষুদ্র কোণে আপতিত আলোকরশ্মি ফাইবারের ভিতরে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয় শেষ পর্যন্ত অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে আসে।

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার কী কাজে লাগে ?

কোন রোগীর পাকস্থলীর ভিতরের দেয়াল পরীক্ষা করতে হলে একটি আলোক নলকে মুখের ভেতর দিয়ে পাকস্থলীতে ঢোকানো হয় । এই আলোক নলের এক সেট অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে আলো পাঠিয়ে পাকস্থলীর দেয়ালের সংশ্লিষ্ট অংশকে আলোকিত করা হয়, অন্য সেট দিয়ে এই আলোকিত অংশকে বাইরে থেকে দেখা যায় ।

এই পদ্ধতি এন্ডোস্কোপি নামে পরিচিত। এভাবে আলোক নল ঢুকিয়ে রক্তবাহী ধমনী ও শিরার ব্লক বা হৃদপিন্ডের ভালবগুলোর ক্রিয়া দেখা যায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি কেন ব্যবহার করা হয় ?

রেডিওথেরাপি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ যেমন- ক্যান্সার, থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক প্রকৃতি, রক্তের কিছু ব্যাধির চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত রেডিওথেরাপি উচ্চশক্তি সম্পন্ন এক্সরে ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এটি টিউমার কোষের অভ্যন্তরস্থ ডিএনএ-কে ধ্বংসের মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা বিনষ্ট করে ফেলে। এ সকল উদ্দেশ্যে চিকিৎসাক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয় ।

অপটিক্যাল ফাইবার রেডিওথেরাপি
রেডিওথেরাপি

এন্ডোসকপি যন্ত্র কী কাজে ব্যবহৃত হয় ?

এন্ডোস্কোপি বলতে সাধারণভাবে কোনো কিছুর ভেতরে দেখাকে বুঝায় । কিন্তু এন্ডোস্কোপি বলতে আমরা বুঝি চিকিৎসা জনিত কারনে বা প্রয়োজনে দেহের অভ্যন্তরস্থ কোন অঙ্গ বা গহ্বরকে বাহির থেকে পর্যবেক্ষণ । এন্ডোস্কোপির যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা শরীরের ফাঁকা অংশসমূহের অভ্যন্তরের পরীক্ষা করে থাকি । এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে চিকিৎসকগণ শরীরের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের ক্ষত, প্রদাহ এবং অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি পরীক্ষা করে থাকেন ।

এন্ডোসকপি
এন্ডোসকপি

Thanks

By

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *