বাংলাদেশে বর্তমানে প্রধান প্রধান শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের অন্তর্ভুক্ত । বেশিরভাগ অর্থনৈতিক খাত বর্তমানে বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে । বাংলাদেশে বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোগ সম্প্রসারণের এর সাথে সাথে বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে ।

দ্রব্যের দাম দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয় । উৎপাদন ও বন্টন প্রক্রিয়া সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহবস্থান আছে । আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ন্যায় শ্রমিকদের মজুরি নিম্নহার ও উদ্যোক্তাদের মুনাফার উচ্চহার লক্ষণীয় । পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বর্তমানে চালু আছে ।

জাতীয় সম্পদ কাকে বলে ?

সাধারণত অর্থ, জমিজমা, বাড়িঘর, নানারকম প্রয়োজনীয় ও স্থায়িত্বসম্পন্ন দ্রব্যসামগ্রী, স্বর্ণ-রৌপ্য ইত্যাদিকে সম্পদ বলে । প্রকৃতপক্ষে কোন বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর উপযোগ অপ্রাচুর্য, বাহ্যিকতা এবং হস্তান্তরযোগ্যতা থাকতে হবে । কোন দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে ।

জাতীয় সম্পদ বলতে সাধারণত রাষ্ট্রীয় সম্পদকে বুঝায়, রাস্তাঘাট, নদীনালা, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় ইত্যাদি আমাদের জাতীয় সম্পদ । অর্থাৎ যে সম্পদে দেশে বসবাসরত সকল মানুষের ব্যবহারে অধিকার রয়েছে তাকে জাতীয় সম্পদ বলে

বাংলাদেশে জাতীয় সম্পদ
National Wealth

ব্যক্তিগত সম্পদ বলতে কী বোঝায় ?

কোন ব্যক্তির মালিকানায় যে সম্পদ থাকে তাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে । সম্পদকে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এ চার শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা যায় । মূলত ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গাজমি, বাড়িঘর কলকারখানা, অর্থসম্পদ, গাড়ি, দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি ব্যক্তিগত সম্পদ । নিজস্ব প্রতিভা, ব্যক্তির দক্ষতা ইত্যাদি যদিও হস্তান্তরযোগ্য নয়, কিন্তু ব্যক্তি এগুলো ব্যবহার করে সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে । সুতরাং এগুলোও ব্যক্তিগত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত ।

সমষ্টিগত সম্পদ কি ?

প্রকৃতপক্ষে সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলো সমষ্টিগত সম্পদ । সমষ্টিগত সম্পদ এর উপরে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও এগুলোর প্রতি তাদের সমান দায়িত্ব রয়েছে । রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল, বিদ্যালয় ইত্যাদি সমষ্টিগত সম্পদ । এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সকল প্রকৃতিক সম্পদ যেমন- বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, নদনদী ইত্যাদিও সমষ্টিগত সম্পদ ।

বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা
Collective Wealth

ইভটিজিং কি ?

ইভটিজিং হচ্ছে লোকসমাগমপূর্ণ স্থানে পুরুষ কর্তৃক নারীদের নিগ্রহ বা উত্যক্ত করা । গৃহের মধ্যে, কর্মক্ষেত্রে অথবা যাতায়াতের পথে কখনো বা নিরিবিলি স্থানে অসৎ উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পুরুষ কর্তৃক নারীর যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন ।

সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয় কিভাবে ?

যখন সামাজিক রীতিনীতি ব্যক্তির আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তখন মানুষের নৈতিক অবনতি শুরু হয় । নৈতিক অবনতি ব্যাপক আকার ধারণ করলে সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন শুরু হয় । সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দেখা দেয় । এসব পরিস্থিতিতে সমাজে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয় ।

ধন্যবাদ”

By

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *