প্রশ্ন ১। চোখের সংবেদনশীলতার পরিমাপ টিক কেমন করে নির্ণয় করা হতে পারে ?

=> চোখের সংবেদনশীলতার পরিমাপটি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে নির্ণয় করা হতে পারে। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়লে চোখের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশাল হতে পারে।

বিশাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট একটা অংশ আমরা দেখতে পাই, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এর বেশি হলেও আমরা দেখতে পাই না। আবার এর ছোট ছোট হলেও আমরা দেখতে পাই না। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 500 nm থেকে 700nm এর ভিতরে হলে আমরা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ দেখতে পাই এবং সেটাকে আমরা বলি আলো।

আমরা যে চোখের নানা রং দেখতে পায় সেগুলো আসলে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ।তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন ছোট হয় সেটা হয় বেগুনি। যখন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে তখন সেটার নীল সবুজ হলুদ কমলা লাল হয়ে চোখের কাছে অদৃশ্য হয়ে যায় । মানুষের চোখ এই ব্যাপ্তির বাইরের তরঙ্গদৈর্ঘ্য দেখতে পাই না- কিন্তু পোকামাকড় বা অন্য অনেক প্রাণী এর বাইরে ও দেখতে পায়। বিভিন্ন আলোতে মানুষের চোখের সংবেদনশীলতার ওপর দিয়ে দেখানো রয়েছে ।

প্রশ্ন ২। মানুষের চোখ সবচেয়ে বেশি দেখতে পায় হলুদাভ সবুজ রং তাহলে বিপদ সংকেত সবসময় লাল দিয়ে কেন করা হয় ?


=> দৃশ্যমান আলোর সাতটি বর্ণের মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বাপেক্ষা বেশি। অন্যান্য বর্ণের আলোর তুলনায় লাল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ কম হয়।

এ কারণে লাল আলো বায়ুমন্ডলে অধিক দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে কোন বিপদজনক স্থানে আসার অনেক আগে থেকেই আমরা লাল আলো দেখে সতর্ক হতে পারি। একারণেই বিপদ সংকেত সবসময় লাল দিয়ে করা হয়।

প্রশ্ন ৩। আয়নাতে ডান-বাম উল্টে যায়, ওপর-নীচ উল্টায় না কেন ?

=> আয়নাতে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব হয় সোজা এবং অবাস্তব, আয়না থেকে সমদূরবর্তী এবং সমান দৈর্ঘ্যের। যেহেতু প্রতিবিম্ব সমদূরবর্তী এবং সমান দৈর্ঘ্যের হাওয়ার উপর-নিচ উল্টায় না।

প্রশ্ন ৪। ডাক্তারগণ ও বিজ্ঞানীরা কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন ?

=> ডাক্তারগণ বিজ্ঞানীরা অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন

অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোকরশ্মিগুচ্ছকে একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফেলা যায় বলে চোখ, নাক , কান, ও গলা পর্যবেক্ষণ করার সময় ডাক্তারগণ অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন । অপরপক্ষে, গবেষণার কাজে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখতে বিজ্ঞানীরা অবতল দর্পণ ব্যবহার করে ।

By

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *